বাংলাদেশের জয় মিরাজের অলরাউন্ডার নৈপুণ্য

 খেলা,, ক্রিকেট 

বাংলাদেশের জয় মিরাজের অলরাউন্ডার নৈপুণ্য 

বোলিংয়ে ৯ ওভারে মাত্র ২৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন ,  মেহেদী হাসান মিরাজ। এরপর ব্যাটিংয়েও খেললেছেন অনেক দারুণ এক ইনিংস, সাথে নাজমুল হোসেন শান্তর দায়িত্বশীল ব্যাটিং। তাতেই বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৬ উইকেটের দাপুটে  সাথে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

অথচ ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৭ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারিয়েছিল টাইগাররা। রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন তানজিদ হাসান তামিম। তার আগে করেছেন ১৩ বলে ১ বাউন্ডারিতে ৫ রান। দারুণ শুরু করা লিটন কুমার দাশও পারেননি ইনিংস বড় করতে। ফজল হক ফারুকির বলে বোল্ড হওয়ার আগে করেছেন ১৮ বলে ২ বাউন্ডারিতে ১৩ রান। লিটন সেরকম ভালো করতে পারেনি।

এরপর পুরোটা গল্প জুড়ে শুধু মিরাজ-শান্ত জুটি। আফগান বোলারদের বাজে বল পেলেই তারা বাউন্ডারি মেরেছেন মিরাজ। ৫৮ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন তিনি।

অন্যপ্রান্তে পরিস্থিতি বুঝে শুনে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেছেন শান্ত। দুজনে মিলে ১২৯ বলে গড়েন ৯৭ রানের জুটি। ৭৩ বলে ৫৮ বাউন্ডারিতে ৫৭ রান করা মিরাজকে ফিরিয়ে সেই জুটি ভাঙেন নাভিন উল হক।

মিরাজ ফিরে যাওয়ার পর ফিফটির দেখা পান শান্ত। শেষ পর্যন্ত ৮৩ বলে ৩ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৫৯ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।

এর আগে টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে টাইগার বোলারদের দাপটে মাত্র ১৫৬ রানে গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান। তবে শুরুটা ভালো করেছিল দুই ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইবরাহিম জাদরান। টাইগার বোলারদের বাজে বল পেলেই বাউন্ডারিতে পরিণত করেছেন তারা। ৫০ বলে ৪৭ রানের জুটি গড়েন তারা।

সেট ব্যাটার ইবরাহিমকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন সাকিব। এরপর রহমত শাহকেও লিটনের ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে পাঠিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

উইকেটে আসার পর থেকেই ধরে খেলার চেষ্টা করেন হাশমতউল্লাহ শহিদি। গুরবাজের সাথে ৫৭ বলে ২৯ রানের জুটি গড়েন তিনি। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে তাওহীদ হৃদয়ের হাতে ক্যাচ দেন আফগান অধিনায়ক। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে করেন ৩৮ বলে ২ বাউন্ডারিতে ১৮ রান করেন।

খেলা,    বিস্তারিত জানতে:  এখানে ক্লিক করে দেখুন

আফগানিস্তানকে সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা দেন মুস্তাফিজুর রহমান। সেট ব্যাটার গুরবাজকে ফেরান তিনি। ৬২ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৪৭ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন আফগান ওপেনার।

এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে শহিদির দল। নাজিবুল্লাহ জাদরান-মোহাম্মদ নবী কিছুই করতে পারেননি। তবে চেষ্টা করেছিলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ২০ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ২২ রান করা এই অলরাউন্ডারকে বোল্ড করে প্যাভিলিয়নে ফেরান শরীফুল।

বাংলাদেশের হয়ে ৩টি করে উইকেট শিকার করেছেন সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। দুটি উইকেট নিয়েছেন শরীফুল ইসলাম। একটি করে উইকেট শিকার করেছেন মুস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url